রেমন্ড জোন্ডু Raymond Jondu
ভদ্রলোকের নাম 'রেমন্ড জোন্ডু'। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিচারপতি। ক'দিন আগে এ পদে নিয়োগের জন্য তাঁর একটি ইন্টারভিউ হয়, সেখানে তিনি নিজের জীবনের একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন .........
রেমন্ড (পরে বিচারপতি) যখন কলেজ শেষ করেন, তখন তাঁর পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার অবস্থা। কারণ বাড়িতে আয় করার মতো কেউ নেই। একমাত্র উপার্জনকারী মায়ের রোজগারও বছর দুয়েক আগে বন্ধ হয়ে গেছে। পড়ালেখার খরচ তো দূরের কথা, খাওয়া খরচ জোগাড় করাও মায়ের পক্ষে সম্ভব নয়।
তরুণ রেমন্ড দুয়ারে দুয়ারে কড়া নাড়লেন, কেউ সাড়া দিল না বরং সবাই তাঁকে বললো, পড়ার চিন্তা বাদ দিয়ে কোন কাজ খুঁজে নাও। আগে ফ্যামিলি বাঁচাও। কিন্তু রেমন্ড জোন্ডু কারো কথায় থেমে যাওয়ার পাত্র নন। স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ভবিষ্যত প্রধান বিচারপতির জন্ম হয়নি। কোথাও সাহায্য না পেয়ে তিনি হাত পাতলেন বাজারের এক অপরিচিত ভারতীয় মুদি দোকানদারের কাছে। ভদ্রলোকের নাম মুসা।
মুদি দোকানী অপরিচিত যুবকের সমস্যা শুনলেন। তারপর কোন যাচাই বাছাইয়ে না গিয়ে শুধু জিজ্ঞেস করলেন, তুমি পড়তে চাও? তার জন্য টাকা দরকার?
হ্যাঁ , আমি পড়তে চাই- চোখে অন্ধকার নিয়ে রেমন্ড উত্তর দিলেন। মুদি দোকানী বললেন, ঠিক আছে, আমি সাহায্য করবো।
তবে আমি নগদ টাকা দিতে পারবো না। তোমার মাকে বলবে, তিনি যেন প্রতি মাসে একদিন আমার দোকানে এসে তাঁর যা যা লাগে সব নিয়ে যান। আমি হিসেব রাখবো, পরে তুমি দাঁড়িয়ে গেলে শোধ করে দেবে।
পড়ালেখা শেষ করে যেদিন রেমন্ড জোন্ডু নিজ পায়ে দাঁড়ালেন, সেদিন তিনি দোকানী মুসা সাহেবের কাছে গেলেন।
বললেন, আপনার ঋণ শোধ করার সামর্থ্য আমার হয়েছে। আমি কিভাবে তা শোধ করবো? বাজারের সামান্য দোকানদার তখন জগতের সেরা উত্তরটি দিলেন--
"Just do to others , what I have done to you"--- অর্থাৎ "আমি তোমার জন্য যা করেছি, তুমি অন্যদের জন্য তাই করো"। শেষ কথাগুলো বলার সময় ইন্টাভিউ বোর্ডেই রেমন্ড আবেগাপ্লুত হয়ে চোখের পানি মুছলেন।
আমাদের আশেপাশে এমন বহু 'রেমন্ড' আছেন। আছেন জনাব মুছার চেয়ে হাজারও বিত্তশালী ব্যক্তি। আমরা কি পারিনা এই ধরণের 'রেমন্ড'দের পাশে দাঁড়িয়ে জনাব মুছার মতো গর্বিত হতে?
( বিদেশী পত্রিকা থেকে অনূদিত )
ভদ্রলোকের নাম 'রেমন্ড জোন্ডু'। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিচারপতি। ক'দিন আগে এ পদে নিয়োগের জন্য তাঁর একটি ইন্টারভিউ হয়, সেখানে তিনি নিজের জীবনের একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন .........
রেমন্ড (পরে বিচারপতি) যখন কলেজ শেষ করেন, তখন তাঁর পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার অবস্থা। কারণ বাড়িতে আয় করার মতো কেউ নেই। একমাত্র উপার্জনকারী মায়ের রোজগারও বছর দুয়েক আগে বন্ধ হয়ে গেছে। পড়ালেখার খরচ তো দূরের কথা, খাওয়া খরচ জোগাড় করাও মায়ের পক্ষে সম্ভব নয়।
তরুণ রেমন্ড দুয়ারে দুয়ারে কড়া নাড়লেন, কেউ সাড়া দিল না বরং সবাই তাঁকে বললো, পড়ার চিন্তা বাদ দিয়ে কোন কাজ খুঁজে নাও। আগে ফ্যামিলি বাঁচাও। কিন্তু রেমন্ড জোন্ডু কারো কথায় থেমে যাওয়ার পাত্র নন। স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ভবিষ্যত প্রধান বিচারপতির জন্ম হয়নি। কোথাও সাহায্য না পেয়ে তিনি হাত পাতলেন বাজারের এক অপরিচিত ভারতীয় মুদি দোকানদারের কাছে। ভদ্রলোকের নাম মুসা।
মুদি দোকানী অপরিচিত যুবকের সমস্যা শুনলেন। তারপর কোন যাচাই বাছাইয়ে না গিয়ে শুধু জিজ্ঞেস করলেন, তুমি পড়তে চাও? তার জন্য টাকা দরকার?
হ্যাঁ , আমি পড়তে চাই- চোখে অন্ধকার নিয়ে রেমন্ড উত্তর দিলেন। মুদি দোকানী বললেন, ঠিক আছে, আমি সাহায্য করবো।
তবে আমি নগদ টাকা দিতে পারবো না। তোমার মাকে বলবে, তিনি যেন প্রতি মাসে একদিন আমার দোকানে এসে তাঁর যা যা লাগে সব নিয়ে যান। আমি হিসেব রাখবো, পরে তুমি দাঁড়িয়ে গেলে শোধ করে দেবে।
পড়ালেখা শেষ করে যেদিন রেমন্ড জোন্ডু নিজ পায়ে দাঁড়ালেন, সেদিন তিনি দোকানী মুসা সাহেবের কাছে গেলেন।
বললেন, আপনার ঋণ শোধ করার সামর্থ্য আমার হয়েছে। আমি কিভাবে তা শোধ করবো? বাজারের সামান্য দোকানদার তখন জগতের সেরা উত্তরটি দিলেন--
"Just do to others , what I have done to you"--- অর্থাৎ "আমি তোমার জন্য যা করেছি, তুমি অন্যদের জন্য তাই করো"। শেষ কথাগুলো বলার সময় ইন্টাভিউ বোর্ডেই রেমন্ড আবেগাপ্লুত হয়ে চোখের পানি মুছলেন।
আমাদের আশেপাশে এমন বহু 'রেমন্ড' আছেন। আছেন জনাব মুছার চেয়ে হাজারও বিত্তশালী ব্যক্তি। আমরা কি পারিনা এই ধরণের 'রেমন্ড'দের পাশে দাঁড়িয়ে জনাব মুছার মতো গর্বিত হতে?
( বিদেশী পত্রিকা থেকে অনূদিত )




No comments:
Post a Comment
Please do not any spam in the comments Box